ছবিটি দেখার পর আপনাদের মনে অনেক নেতিবাচক ধারণা আসতে পারে এটায় স্বাভাবিক, কিন্ত ছবিটির আসল সত্যতা জানার পর আপনাদের চোখে জল ও আসতে আবার ।
ইউরোপের কোনো এক দেশে এক বৃদ্ধলোককে অনাহারে মৃত্যদন্ড সাজা প্রদান করা হয় এবং তাকে একটি জেলখানায় বন্দি করে রাখা হয় । তার সাজাটি ছিল এমন যে সে যতখুন পর্যন্ত মারা না যায় তাকে কোনো কিছু খেতে দেওয়া হবে না ।
লোকটার মেয়ে তার বাবা না মারা যাওয়া পর্যন্ত রোজ তার বাবাকে জেলে দেখতে যাওয়ার জন্য আদালতে অনুমতি চাইল একং আদালত তাকে তার বাবাকে জেলে দেখতে যাওয়ার অনুমতি দিল। মেয়েটা জেলে ঢোকার সময় সিকিউরিটি গার্ড তাকে তল্লাশি করত আর তাই সে তার বাবার জন্য খাওয়ার মতো কিছুই নিয়ে যেতে পারত না।
বাবার অনাহারে মরতে বসার দুর্দশা মেয়েটা দেখে সহ্য করতে পারছিল না। একজন স্নেহময়ী মায়ের নজরে সে তার বাবার দিকে তাকাত। আর তাই বাবাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য মেয়েটা রোজ তার বাবাকে বুকের দুধ খাওয়াত।
আর এভাবে অনেকদিন পার হয়ে গেলে কিন্ত লোকটা মারা গেল না। এ দেখে সিকিউরিটি গার্ডরা মেয়েটাকে সন্দেহ করলো এবং একদিন বাবাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মেয়েটাকে ধরে ফেলল।
তার নামে আদালতে একটা মামলাও করা হল। কিন্তু মেয়েটার নিঃস্বার্থ কর্ম জেলারের মন জিতে নিল এবং সেই সাথে জেলার তার বাবাকে মুক্তি ও দিল।
একটা মেয়ের জীবন যে ভালোবাসা আর ত্যাগে পূর্ণ তা এ ছবিটি দেখলে বুঝা যায়, তা সে একজন মানুষের জীবনে যে ভূমিকাই পালন করুক না কেন, কখনো সে হতে পারে মা, কখনো বোন, স্ত্রী বা বান্ধবী।
উপরের চিত্রকর্মটি ইউরোপের সবথেকে দামী চিত্রকর্মগুলোর মধ্যে একটি। লোকটির নাম ছিল সাইমন আর মেয়ের নাম পেরো। পরে একে 'রোমান চ্যারিটি' নাম দেয়া হয়।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন