ঠাকুরগাঁও জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

ঠাকুরগাঁও জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

ঠাকুরগাঁও উত্তরের একটি জেলা শহর। ১৯৮০ সালে দিনাজপুর জেলা ভেঙ্গে  এ জেলার সৃষ্টি হয়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই ঠাকুরগাঁও জেলার মধ্যে রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান, যা দেখার জন্য প্রতি বছর অনেক ভ্রমন পিয়াসি মানুষ এখানে ঘুরতে আসে। ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ 

ঠাকুরগাঁও জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ


শালবাড়ি মসজিদ ও ইমামবাড়া, 

ঠাকুরগাঁও উপজেলার পশ্চিমে ভাউলারহাটের নিকটে শালবনে শালবাড়ি মসজিদটি অবস্থিত। একটি শিলালিপি থেকে জানা যায় মসজিদটি বাংলা ১২১৫ সালে তৈরি হয়েছে। সংস্কারের কারণে মসজিদটির মূল নকশা নষ্ট হয়ে গেছে। শালবাড়ি মসজিদটির অদূরে ভগ্নদশার একটি ইমামবাড়া আছে। এটাও মসজিদটির সমসাময়িক বলে অনুমান করা হয়। ইমামবাড়াটির পূর্ব ও পশ্চিম দেয়ালে দুটি করে চারটি এবং উত্তর ও দক্ষিণে একটি করে দুটি দরজা আছে। এর বাইরের পরিমাপ দৈর্ঘ্যে ঊনিশ ফুট ছয় ইঞ্চি এবং প্রস্থে তের ফুট। এখানে মহরমের অনুষ্ঠানাদি হতো।



 হরিণমারী শিব মন্দির 

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে দশ কিলোমিটার দূরে হরিণমারী হাটের উপর শিবমন্দিরটি অবস্থিত। এই মন্দিরের ছাদ চারচালা পদ্ধতিতে নির্মিত। এটা বেশ খানিকটা বসে গেছে। মন্দিরটির বর্তমান উচ্চতা প্রায় ত্রিশ ফুট এবং আয়তন  ১৪ ×১৪ ফুট। দক্ষিণ দিকে একটি দরজা আছে। দরজায় পোড়ামাটির ফলকে লতাপাতার নকশার সাথে বিভিন্ন মূর্তির প্রতিকৃতি ছিল। বর্তমানে সেগুলো ভেঙ্গে গেছে। মন্দিরের পূর্বদিকে বেশ বড় একটি পুকুর আছে। আনুমানিক চারশ বছরের পুরাতন হতে পারে মন্দিরটি।


জগদল রাজবাড়ি  

রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ থেকে প্রায় আট কিলোমিটার পশ্চিমে জগদল নামক স্থানে নাগর ও তীরনই নদীর মিলনস্থলে ছোট একটি রাজবাড়ি রয়েছে। রাজবাড়িটির সম্ভাব্য নির্মাণকাল ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ। বর্তমানে রাজবাড়িটি প্রায় ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে।  রাজবাড়ি থেকে প্রায় একশ মিটার পশ্চিমে নাগর নদীর পাড়ে মন্দির ছিল যা আজ সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আর কিছুই নেই। জগদলের রাজকুমার ছিলেন শ্রী বীরেন্দ্র কুমার। তাঁর সঙ্গে বাকীপুরের জমিদার রায় পূর্ণেন্দু নারায়ণ সিংহের পুত্র শ্রী নলিনী রঞ্জনের কনিষ্ঠা কন্যা শ্রীমতি আশালতা দেবীর বিয়ে হয়। শ্রী বীরেন্দ্র কুমার সুশিক্ষিত ছিলেন। বইয়ের প্রতি ছিল তাঁর প্রবল অনুরাগ। এ কারণে তিনি গড়ে তুলেছিলেন সমৃদ্ধ পাঠাগার ।


জামালপুর জমিদার বাড়ি জামে মসজিদ

ঠাকুরগাঁও শহর থেকে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে বিমান বন্দর পেরিয়ে শিবগঞ্জহাট। হাটের তিন কিলোমিটার পশ্চিমে জামালপুর জমিদারবাড়ি জামে মসজিদ। মসজিদ অঙ্গনে প্রবেশমুখে বেশ বড় সুন্দর একটি তোরণ রয়েছে। তাজপুর পরগনার জমিদারবাড়ি থেকে রওশন আলী নামক এক ব্যক্তি এ অঞ্চলে আসেন। তাঁরই বংশধররা পরবর্তীতে এখানে জমিদারী পান। ১৮৬২ সালে জমিদারবাড়ির ভিত্তি স্থাপন করা হয়। বাড়িটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ১৮৬৭ সালে মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ফলে মসজিদের ব্যয়বহুল নির্মাণ কাজ শেষ হলেও জমিদার বাড়িটির নির্মাণ অসমাপ্ত থেকে যায়।মসজিদটির শিল্পকলা দৃষ্টিনন্দিত, মনোমুগ্ধকর ও প্রশংসাযোগ্য। মসজিদে বড় আকৃতির তিনটি গম্বুজ আছে। গম্বুজের শীর্ষদেশ কাচ পাথরের কাজ করা। এই মসজিদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো মিনারগুলো। মসজিদের ছাদে আটাশটি মিনার আছে। একেকটি মিনার ৩৫ ফুট উঁচু এবং প্রতিটিতে নকশা করা রয়েছে। গম্বুজ ও মিনারের মিলনে সৃষ্টি হয়েছে অপূর্ব সৌন্দর্য।


লোকায়ন জীবন বৈচিত্র্য জাদুঘর

ঠাকুরগাঁও জেলার আকচা গ্রামে অবস্থিত একটি ব্যতিক্রমী দর্শনীয় স্থান লোকায়ন জীবন বৈচিত্র্য জাদুঘর (Lokayan Life Diversity Museum)। শ্রমজীবী মানুষ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনজীবনকে কেন্দ্র করে লোকজ সংস্কৃতি, শ্রমজীবী মানুষের ব্যবহৃত নানা উপকরন ও জীবন বৈচিত্রের নানা দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই জাদুঘরে। হাজার বছরের বাঙ্গালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার লক্ষ্যে ২০০৬ সালে ড. মুহম্মদ শহীদ-উজ-জামান এই লোকায়ন জীবন বৈচিত্র্য জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন। লোকায়ন জীবন বৈচিত্র্য জাদুঘরের বিশাল চত্বর জুড়ে প্রায় ৭০ ধরনের বিভিন্ন ধরনের ফল ও ১২০ ধরনের ঔষধি গাছ-গাছালী রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তৃনমূল লোকজ গ্যলারি হিসেবে যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে এখানে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ভিত্তিক সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী গ্যালারি, নদী গ্যালারি ও মুক্তিযুদ্ধ গ্যলারি যুক্ত করা হয়। এখানে প্রাচীন কাল থেকে কৃষি কাজে ব্যবহৃত ও লোকজ ঐতিহ্যের বিভিন্ন উপাদান, শ্রমজীবী বা সাধারন মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহৃত জিনিস, মাদল, সানাই, পালকি ও টোপরের মতো প্রাচীন বৈবাহিক উপকরন, একতারা, দোতারাসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র, নদ নদীর তালিকা, মৎস্য ও জলজ উদ্ভিদ সম্পর্কিত তথ্য, মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরন ও ইতিহাস, ব্রিটিশ আমলের হাতে লেখা অস্পষ্ট দলিল, চিঠিপত্র, পুঁথি ও জমিদারের খাজনা আদায়ের রশিদের মতো অসংখ্য জিনিস সংরক্ষণ করা হয়েছে।


হরিপুর রাজবাড়ি

হরিপুর উপজেলার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত রাজবাড়িটি আজো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই প্রাসাদোপম অট্টালিকাটি নির্মিত হয় ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে। এটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন ঘনশ্যাম কুন্ডুর বংশধর রাঘবেন্দ্র রায় চৌধুরী আর সম্পন্ন করেন তারই পুত্র জগেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী। মুসলিম শাসন আমলে আনুমানিক ১৪০০ খ্রিস্টাব্দে ঘনশ্যাম কুন্ডু নামক একজন ব্যবসায়ী এন্ডি কাপড়ের ব্যবসা করতে হরিপুরে আসেন। তখন মেহেরুন্নেসা নামে এক বিধবা মুসলিম মহিলা এ অঞ্চলের জমিদার ছিলেন। তাঁর বাড়ি মেদিনীসাগর গ্রামে। জমিদারির খাজনা দিতে হতো তাজপুর পরগনার ফৌজদারের নিকট। খাজনা অনাদায়ের কারণে মেহেরুন্নেসার জমিদারির কিছু অংশ নিলাম হয়ে গেলে ঘনশ্যাম কুন্ডু কিনে নেন। ঘনশ্যামের পরবর্তী বংশধরদের একজন রাঘবেন্দ্র রায় ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বৃটিশ আমলে হরিপুর রাজবাড়ির কাজ শুরু করেন। কিন্তু তাঁর সময়ে রাজবাড়ির কাজ শেষ হয়নি। রাঘবেন্দ্র রায়ের পুত্র জগেন্দ্র নারায়ণ রায় ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে রাজবাড়ির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন। এসময় তিনি বৃটিশ সরকার কর্তৃক রাজর্ষি উপাধিতে ভূষিত হন। জগেন্দ্র নারায়ণ রায়ের সমাপ্তকৃত রাজবাড়ির দ্বিতল ভবনে লতাপাতার নকশা এবং পূর্ব দেয়ালের শীর্ষে রাজর্ষি জগেন্দ্র নারায়ণের চৌদ্দটি আবক্ষ মূর্তি আছে।

     

বালিয়াডাঙ্গী সূর্য্যপূরী আমগাছ   

ঠাকুরগাঁও জেলার পাঁচটি উপজেলা জুড়েই আছে ঐতিহ্যবাহী অসংখ্য দর্শনীয় বিষয়। এর মধ্যে রয়েছে আলোচিত ঐতিহ্যবাহী ২০০ বছরের পুরোনো সূর্যপুরী আমগাছ। জেলার পশ্চিম হরিণমারি সীমান্তের মন্ডু মালা গ্রামে দেখা যাবে এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় এই আম গাছ। কেউ কেউ একে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আম গাছ বলেও আখ্যা দিয়ে থাকে। প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ছুটে আসে প্রাচীন এই গাছটিকে দেখতে। স্থানীয়দের কাছেও এই গাছটি এখন বিনোদনের জায়গা। গাছটি স্থানীয়ভাবে বালিয়াডাঙ্গী সূর্য্যপূরী আমগাছ নামে পরিচিত। প্রায় দুই বিঘা জমির ওপর বিস্তৃত এই গাছটির আকৃতি সুবিশাল। গাছটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এর ডাল। গাছের ডালগুলো কান্ড থেকে বেরিয়ে একটু উপরে উঠেই মাটিতে নেমে গেছে। তারপর আবারো উঠেছে উপরের দিকে। দেখতে অনেকটা ঢেউয়ের মতো। কান্ড থেকে বের হয়েছে গাছটির ২০টি শাখা। শাখাগুলোর দৈর্ঘ্য ৪০ থেকে ৫০ ফুট। গাছের প্রতিটি ডালে অনায়াসে হাঁটাচলা ও বসা যায়। ডালগুলো একেকটা মাঝারি সাইজের আমগাছের মতো।


বালিয়া মসজিদ   

মসজিদের গায়ে খোদাই করা সন অনুসারে মসজিদটি নির্মিত হয় ১৩১৭ বঙ্গাব্দে মানে ১৯১০ খ্রিস্টাব্দ। মুঘল স্থাপত্যের রীতি অনুযায়ী ডিজাইনকৃত এই মসজিদটি নির্মানের কাজ শুরু করেন জমিদার মেহের বকস চৌধুরী। দিল্লির আগ্রা মতান্তরে মুর্শিদাবাদ থেকে আনা স্থপতি দিয়ে কাজটি শুরু হলেও হঠাৎ প্রধান স্থপতির মৃত্যুর ফলে মসজিদ নির্মাণের কাজ থেমে যায়। মেহের বকস স্থানীয় কারিগরের সহায়তায় পুনরায় মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেন কিন্তু স্থানীয় কারিগরগণ মসজিদের গম্বুজ নির্মাণে ব্যথ হন। ১৯১০ সালে মেহের বকস চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন। মেহের বকসের ছোট ভাই কয়েক বছর পর মসজিদটি নির্মাণের জন্য আবারও উদ্যেগ নেন। কিন্তু নির্মাণ কাজ সমাপ্ত না করে তিনিও মৃত্যু বরণ করেন। ফলে মসজিদটি ১০০ বছর গম্বুজ ছাড়াই দাড়িয়েঁ থাকে। অবশেষে মেহের বকস চৌধূরী প্রোপৌত্র তসরিফা খাতুনের পৃষ্ঠপোষকাতায় ও প্রত্নতত্ব ইনস্টিটিউটের কারিগরী সহায়তায় ২০১০ সালে বালিয়া মসজিদটির সংস্কার কাজ শুরু হয়। একই সাথে আর্কিটেক্ট সৈয়দ আবু সুফিয়ান কুশল এর নকশায় নতুন ভাবে গম্বজ নির্মাণ করা হয়।


ফানসিটি শিশু পার্ক

পীরগঞ্জ শহরের আর ডি আর এস মোড় সংলগ্ন এবং পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত পীরগঞ্জ এর একমাত্র শিশুপার্ক এবং বিনোদন কেন্দ্র ফানসিটি এন্ড এ্যামিউজমেন্ট পার্ক। শিশুসহ সকল বয়সের মানুষের বিনোদন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নির্মল আনন্দ উপভোগের কেন্দ্র হিসেবে এটি ঠাকুরগাঁও জেলার অন্যতম প্রধান পিকনিক স্পট হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এখানে শিশুদের জন্য আকর্ষণীয় সব রাইড এবং চমৎকার স্থাপত্য শৈলীতে আকৃষ্ট হয়ে পিকনিকের মৌসুমে ভিড় জমায় আশ-পাশের জেলা থেকে আগত দর্শণার্থীরা।পীরগঞ্জ উপজেলার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ফানসিটি অবদান রাখছে। ফানসিটি মূলত একটি বিনোদনের স্থান। এখানে শিশুদের বিভিন্ন রাইডস, সাম্পান নৌকা, ট্রেন,ব্রিজ, দোলনাসহ আরও বিভিন্ন ধরণের বিনোদন সামগ্রী রয়েছে। পিকনিকের জন্য রয়েছে পূর্ব পার্শ্বে আম লিচুর বাগান। গাড়ী পার্কের জন্যও রয়েছে বিশাল নিজস্ব এলাকা।প্রতিটি দেওয়ালে রয়েছে বিভিন্ন কবি, সাহিত্যিক, বৈজ্ঞানিকের ছবি।

রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি

রানীশংকৈল  উপজেলার পূর্বপ্রান্তে কুলিক নদীর তীরে মালদুয়ার জমিদার রাজা টংকনাথের রাজবাড়ি। টংকনাথের পিতার নাম বুদ্ধিনাথ চৌধুরী। তিনি ছিলেন মৈথিলি ব্রাহ্মণ এবং কাতিহারে ঘোষ বা গোয়ালা বংশীয় জমিদারের শ্যামরাই মন্দিরের সেবায়েত। নিঃসন্তান বৃদ্ধ গোয়ালা জমিদার কাশীবাসে যাওয়ার সময় সমস্ত জমিদারি সেবায়েতের তত্ত্বাবধানে রেখে যান এবং তাম্রপাতে দলিল করে যান যে তিনি কাশী থেকে ফিরে না এলে শ্যামরাই মন্দিরের সেবায়েত এই জমিদারির মালিক হবেন। পরে বৃদ্ধ জমিদার ফিরে না আসার কারণে বুদ্ধিনাথ চৌধুরী জমিদারি পেয়ে যান। তবে অনেকে মনে করেন এই ঘটনা বুদ্ধিনাথের দু এক পুরুষ পূর্বেরও হতে পারে।



Google Search Keyword

ঠাকুরগাঁও জেলা কোড কত

ঠাকুরগাঁও বিখ্যাত আম গাছ

ঠাকুরগাঁও জেলা মানচিত্র

ঠাকুরগাঁও জেলার উপজেলা সমূহ

ঠাকুরগাঁও জেলার আয়তন কত

ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলা

ঠাকুরগাঁও জেলার দর্শনীয় স্থান

ঠাকুরগাঁও জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি

ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা

ঠাকুরগাঁও জেলার ইউনিয়ন কয়টি


About Admin

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.

0 Comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন